" আপনার সোনামণিকে কীভাবে বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করবেন তা নিয়ে কী আপনি চিন্তিত?"

" আপনার সোনামণিকে কীভাবে বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করবেন তা নিয়ে কী আপনি চিন্তিত?"

পর্ব- এক

অনেকের মনেই প্রশ্ন আসতে পারে- বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করা এর মানে কী? বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করা বা বুকের দুধ ছাড়ানো বলতে যখন শিশু মায়ের বুকের দুধ ব‍্যতিত অন্যান্য উৎস থেকে সঠিক মাত্রায় পুষ্টি উপাদান পেয়ে থাকে তখন শিশুকে স্তন্যপান করা ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেয়া। তবে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করার মানে কিন্তু এটা মনে করার কোনো কারণ নেই যে এর মাধ্যমে আপনার ও আপনার শিশুর মধ্যকার যে ঘনিষ্ঠতম সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে তার ইতি ঘটবে। বরং বিষয়টিকে এমনভাবে নিতে পারেন যে এর মাধ্যমে আপনি শিশুকে লালন পালনের নতুন উপায় অবলম্বন করছেন।

মাতৃত্বের অন্যতম বিশেষত্ব হলো বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো। জন্মের পর প্রথম ছয় মাস শিশুকে শুধু মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত। এরপর ধীরে ধীরে তার অন্য খাবারের চাহিদা তৈরি হয়। একটা সময় পর শিশু অন্যান্য খাবার থেকে সব ধরনের পুষ্টি পেতে শুরু করে। এভাবে প্রায় দুবছর পর্যন্ত শিশু মায়ের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য খাবার অভ‍্যস্ত হতে থাকে। এক পর্যায়ে শিশুর শরীরের চাহিদা মতো পুষ্টিগুণ অন্যান্য খাবার থেকেই যোগান দেয়া সম্ভব হয়। তখন আর মায়ের দুধের প্রয়োজন থাকে না।

শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করার সময় হয়ে আসলে আপনি হয়তো বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পরতে পারেন। ঠিক যেমন করে আপনার শিশুটিকে প্রথম প্রথম বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় হয়েছিলেন। দুই ক্ষেত্রেই হুট করে কোনো কিছু করা সম্ভব নয়।

আপনার শিশুটির বয়স যতই হোক না কেন তাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর প্রক্রিয়া একটু ধীরে সুস্থে শুরু করাই ভালো। আপনি যদি হুট করেই শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করে দেন তাহলে স্তন থেকে তরল পদার্থ বের হওয়া অব‍্যাহত থাকবে। এমনকি আপনি মাসটিটিস বা স্তনগ্রন্থির স্ফীতি এবং প্রদাহ রোগেও আক্রান্ত হতে পারেন।

মাসটিটিস শুধু যে বেদনাদায়ক তা নয় বরং এটি মায়েদের দুর্দশাগ্রস্থ করে তোলে। এমনকি এর ফলে স্তনে বিষ ফোঁড়ারও সৃষ্টি হতে পারে। যা সরানোর জন্য হাসপাতালেও ভর্তি হতে পারে।

দুধ পান বন্ধ করার জন্য মাকে মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিতে হয় এবং একই সাথে শিশুকেও প্রস্তুত করে নিতে হয়। ছয় মাসের পর থেকে শিশুকে মায়ের দুধের পাশাপাশি অতিরিক্ত বাড়তি খাবারে অভ‍্যস্থ করে তুলতে হয়। এভাবে সে এক সময় বুকের দুধ ছাড়াই অন্য খাবার খাওয়া শুরু করে। বুকের দুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে মা ও সন্তানের মধ্যে এক নিবিড় সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। তাই বুকের দুধ ছাড়ানো প্রক্রিয়াতে মায়েদের মনে বিষন্নতার সৃষ্টি হয় এবং শিশুরাও এক ধরনের অসহায়ত্ব বোধ করে। তবে যেটি মাথায় রাখতে হবে তা হলো, মায়ের দুধ ছাড়ানো এই প্রক্রিয়াটি মা শিশুর আন্তরিক বন্ধন শেষ করে দেয় না। বরং তা আরও দৃঢ় করে।

 

☆ বাচ্চাকে কখন মায়ের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করবেন-

বাচ্চাকে কখন বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করবেন সেটি যদি কেউ নির্ধারণ করার থাকে সেটি আপনি নিজেই। এর কোন ডেডলাইন বা বাধ্যবাধকতা নেই যে এই বয়সের পর আর বুকের দুধ খাওয়ানো যাবে না। বুকের দুধ তখনই ছাড়ানো উচিত যখন মনে হবে আপনি ও আপনার বাচ্চা দুজনই এর জন্য প্রস্তুত।

দ‍্যা আমেরিকান একাডেমি অফ পিডিয়াট্রিক্স এর মতে - অন্ততপক্ষে শিশুর ১ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত। তবে মা ও শিশু উভয়ই যদি চায় তাহলে সেটা এর বেশি সময় যাবৎ ও হতে পারে।

এ ব‍্যাপারে আপনার আত্মীয় স্বজন, বন্ধু এমনকি পরিচিত অপরিচিত অনেকেই অনেক কিছু বলবে। কিন্তু সত‍্যিটা হচ্ছে বুকের দুধ ছাড়ানোর কোনো পারফেক্ট বা নির্দিষ্ট সময় নেই। সে যখন একটু বড় হবে বুকের দুধ আর চাইবে না তখন বন্ধ করে দিন। তবে শিশুর বয়স দেড় বছর হবার পর ধীরে ধীরে বুকের দুধ খাওয়ানো কমিয়ে আনলে দুই বছর হতে হতে তা বন্ধ করে দেয়া যায়।

পর্ব- দুই

☆ কার ইচ্ছা অনুযায়ী বুকের দুধ ছাড়াবেন -

বুকের দুধ ছাড়ানোর ক্ষেত্রে মা ও শিশু উভয়ের ইচ্ছাই জরুরি। তবে কিছু ক্ষেত্রে যেকোনো একজনের ইচ্ছে অনুযায়ী সংঘটিত হয়ে থাকে। এখন আমরা এ ব‍্যাপারটি নিয়েই আলোচনা করবো।

 

◆ বাচ্চার ইচ্ছে অনুযায়ী বুকের দুধ ছাড়ানো -

 

অনেক শিশুর ক্ষেত্রে তাদের বয়স ৪-৬ মাস হলে, যখন থেকে সে সলিড খাবার শুরু করে তখন থেকেই সে বুকের দুধের প্রতি আগ্রহ হারানো শুরু করে। আর শিশু যদি একদমই বুকের দুধ খেতে না চায় তবে তা বন্ধ করাটা সহজ এবং সঠিক।

কিছু শিশুর বয়স ১২ মাস হলে যখন সে বিভিন্ন ধরনের শক্ত খাবার এবং কাপ থেকে পানি ও অন্যান্য তরল খাওয়া শুরু করে তখন থেকেই তার আর বুকের দুধের প্রতি ততোটা আগ্রহ থাকে না। ১ বছর বয়সী শিশুরা অনেক দুরন্ত হয়। তখন আর এক জায়গায় অনেকক্ষণ বসে খাওয়ার ধৈর্য্য থাকে না। এছাড়া আপনার শিশু যদি একটু চঞ্চল এবং অধৈর্য‍্য হয় সে এমনিতেই দুধ পানের প্রতি মনোযোগ হারিয়ে ফেলবে। এবং এর মাধ্যমে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন আপনার বাচ্চাটিকে বুকের দুধ ছাড়ানোর সময় হয়েছে।

 

◆ মায়ের ইচ্ছে অনুযায়ী বুকের দুধ ছাড়ানো -

 

আপনার হয়তো অফিস শুরু করতে হবে অথবা আপনার যদি মনে হয় এটাই প্রকৃত সময় তাহলে আপনি নিজেও বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আপনি যদি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন কিন্তু মনে হচ্ছে যে আপনার শিশু এখনো স্তন থেকে দুধ পান করতে আগ্রহী সেক্ষেত্রে হঠাৎ বন্ধ না করে ধীরে ধীরে বন্ধ করাটাই শ্রেয়।

 আপনার ইচ্ছে অনুযায়ী বন্ধ করার প্রক্রিয়াটি অনেক সময় ও ধৈর্য্য ধরে করতে হবে। এছাড়া শিশুর বয়স কতো এবং সে পরিবর্তনটার সাথে কতটা মানিয়ে নিতে পারছে সেটিও দেখার বিষয়।

 

 ধারাবাহিক নিয়মের বাইরে গিয়ে হুট করে বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করা উচিত নয়। এক্সপার্টরা বলে থাকেন যেসকল শিশু স্তন্যপানের প্রতি আগ্রহী তাদের হুট করে স্তন্যপান করানো বন্ধ করে দিলে তা শিশুর উপর মানসিকভাবে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। আবার এতে করে মায়ের স্তনে দুধের জমাট বেধে যাওয়া কিংবা ইনফেকশনের ঝুঁকিও থাকে।

 

☆ মায়েদের জন্য টিপস -

 

প্রথম ছয় মাস শুধুমাত্র বুকের দুধ এরপর থেকে দুই বছর পর্যন্ত অন্য খাবারের পাশাপাশি বুকের দুধ দিন। অন্য কোনো ব‍্যক্তিগত বা ডাক্তারি কারণ ছাড়া এই সময়ের আগে দুধ বন্ধ না করাই ভালো। যেসকল বাচ্চারা এই সময় পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ খায় তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হয়।

• কখনোই তাড়াহুড়ো করতে যাবেন না। আপনার শরীর ও বাচ্চার মানসিক অবস্থার পরিবর্তনে সময় দিন।

• যাদের পরপর দুটি বাচ্চা তাদের জন্য তুলনামূলকভাবে ব‍্যাপারটা সহজ। ছোট বাচ্চাকে দেখিয়ে বড় বাচ্চাকে বোঝানো যায় এখন এটি এই ছোট্ট বাবুটির খাবার। তাকে বোঝান- ' এখন তুমি খেলে ছোট বেবি খাবার পাবে না।'

• একটু বড় বাবুদের মানসিক প্রস্তুতির জন্য তাকে বারবার বলে বোঝান বড় হয়ে গেলে আর মায়ের দুধ খেতে হয় না। বড়রা সবাই টেবিলে বসে খাবার খায়। এই ধরনের কথা শুনতে শুনতে বাচ্চারা মনে মনে প্রস্তুত হয়। এতে করে তার জেদ করার বা কান্না করার মাত্রা কমে যায়।

• দুধ খাওয়ানো বন্ধ করলে সাথে সাথে শরীরের হরমোনের কারণে আপনার মন খারাপ লাগতে পারে বা মুড সুইং হতে পারে। এর জন্য প্রস্তুত থাকুন। পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখুন।

• অন্য অভিজ্ঞ মায়েদের সাথে কথা বলতে পারেন বা তাদের থেকে পরামর্শ নিতে পারেন।

• দুধ জমে যাওয়া জনিত কারণে কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা হলে চিকিৎসক এর পরামর্শ নিতে দ্বিধা বোধ করবেন না।

 বাচ্চা যদি বুকের দুধ খাওয়ার সময়গুলোতে কান্নাকাটি বেশি করে তবে অন্যভাবে চেষ্টা করা উচিত। বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো ছাড়াও বেশি বেশি আপনার সান্নিধ্যে রাখুন। কেননা এই সময়টিতে বাচ্চারা আপনার সান্নিধ্য বেশি পেতে চায়। সেক্ষেত্রে দুধ খাওয়ানোর সময়গুলোতে ওকে পছন্দের অন্য কোনো খাবার খেতে দিন। মনোযোগ সরিয়ে আনার জন্য তাকে বিভিন্ন ধরনের বাচ্চাদের রঙিন বই দেখান, গল্প শোনান, গান গেয়ে শোনান বা ওর সাথে খেলাধুলা করুন। মোটকথা তখন বাচ্চার মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে নিতে পারলে সে দুধ খাওয়ার ব‍্যাপারটা ভুলে থাকবে। আপনি সে পর্যন্ত ধৈর্য্য ধরুন, সময় নিন।

পর্ব- তিন

 

☆ আপনার সোনামণিকে কীভাবে বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করবেন-

এক্ষেত্রে আপনাকে ধীরে ধীরে এগোতে হবে এবং শিশুর অনীহা আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। নিজের ধৈর্য্য বাড়িয়ে নিন সবার আগে। একটি শিশুকে মানুষ করার ক্ষেত্রে ধৈর্য্যটাই সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর এক্ষেত্রেও কোনো ব‍্যতিক্রম নেই।

 

◆ বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করবেন যেভাবে -

▪ বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় আস্তে আস্তে কমাতে থাকুন। একবার দুধ খাওয়ানোর পর আরেকবার খাওয়ানোর মধ্যে যেন অনেকটা সময়ের পার্থক্য থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।

 ▪ ঘুমানোর সময় বাচ্চা যেভাবে শুয়ে বুকের দুধ খেতে অভ‍্যস্ত সেই ভাবে শুয়ে তাকে ঘুম পারাবেন না। বাচ্চাকে কোলে শুইয়ে ঘুম পাড়ান।

 ▪ অনেক বাচ্চা বুকের দুধ ছাড়ানোর সময় প্রচন্ড কান্নাকাটি করে, জেদি হয়ে যায়। এমনকি যেকোন জায়গাতেই দুধ খাওয়ার বায়না করতে পারে। তাকে আদর করে ভোলাবার চেষ্টা করুন। বকা বা ধমক দিবেন না। এতে হিতে বিপরীত হয়।

 ▪অনেক বাচ্চা মনে করে মা তার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে বা তাকে আগের মতো ভালোবাসছে না। এই ধারণা থেকে বাচ্চা আরও বেশি জেদি হয়ে যায় এবং বেশি করে দুধ খাওয়ার জন্য বায়না করে। বাচ্চাকে এই সময় বেশি করে আদর করুন, সঙ্গ দিন এবং তাকে অন্যান্য কাজে ব‍্যস্ত রাখার চেষ্টা করুন। বাচ্চাকে গল্প শুনিয়ে, তার প্রিয় কার্টুন চরিত্র বা পুতুলকে দেখিয়ে ওকে বোঝান যে ও বড় হয়ে গিয়েছে। এখন আর মায়ের দুধ খাওয়া ঠিক নয়। মা কষ্ট পাবে বা সবাই হাসবে। এভাবে করে ওকে বোঝাতে হবে।

 ▪ বাচ্চা পড়ে গিয়ে কাঁদলে বা টিকা দেবার পর বাচ্চাকে বুকের দুধ দিবেন না। অন্যভাবে ভোলানোর চেষ্টা করুন। আপনার বাচ্চা কী করতে ভালোবাসে বা পছন্দ করে তা সব চাইতে ভালো আপনি জানেন, সেগুলো করুন।

 ▪ রাতে ঘুমের মাঝে উঠে বাচ্চা অভ‍্যাসবশত বুকের দুধ খেতে চাইতে পারে। ওকে সোজা করে কোলে নিয়ে আপনার কাঁধে মাথা রেখে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করুন। প্রথমে কাঁদলেই দুধ খেতে দিবেন না। এরকম ভাবে কিছুদিন অন্য রকমভাবে ঘুম পাড়ালেই বাচ্চা বুঝে যাবে বাচ্চা ঘুমানোর সময় দুধ পাবে না।

 ▪ রাতে ঘুমাতে যাবার আগে বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারেন। এরপর বাচ্চা যেভাবে বললে বুঝতে পারে সেভাবে বোঝান যে সকাল এর আগে আর দুধ খাওয়া যাবে না।

 ▪ এইসব কিছুর পরও যদি বাচ্চা কথা না শুনে তাহলে অন্য কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করুন। শুনতে নিষ্ঠুর মনে হতে পারে কিন্তু তা আপনার বাচ্চার ভালোর জন্যই প্রয়োজন। সামান্য নিম পাতা বা কালমেঘ পাতার রস নিপলে লাগিয়ে রাখুন। এতে বাচ্চার কোনো ক্ষতি হবে না। কিন্তু তেঁতো স্বাদ এর জন্য বাচ্চা পরের বার জেদ করার আগে ওই ছোট্ট মাথা নিয়েই দুবার ভেবে দেখবে। অথবা একটা রসুনের কোয়া একদম কুঁচি কুঁচি করে কেটে এক চামচ অলিভ অয়েল এর মধ্যে ডুবিয়ে রাখুন। তেলে রসুন ভিজিয়ে রাখার ফলে তেলটুকুতে উগ্র গন্ধ হয়ে যাবে। এবার ওই তেলটা নিপলে লাগিয়ে রাখুন। বাচ্চা যখন দুধ খেতে যাবে উগ্র গন্ধের ফলে খেতে পারবে না। এইরকম ক্রমাগত বেশ কিছুদিন করতে থাকুন। এমন ভাবে তেঁতো স্বাদ বা উগ্র গন্ধ পেতে থাকলে বাচ্চা নিজেই আর মায়ের দুধ খেতে চাইবে না।

 

যখনই বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করুন না কেন প্রস্তুতি নেয়া শুরু করুন আগের থেকেই। এতে দুজনের জন্যই ব‍্যাপারটা সহজ হবে। পরিবর্তনের এই সময়টিতে বাবা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সহযোগিতা বাঞ্ছনীয়। তবে এটিও মনে রাখতে হবে প্রতিটি বাচ্চাই অনন্য। একজন মা'ই তার সন্তানকে সবচেয়ে ভালো ভাবে বুঝতে পারেন। তাই মাকেই বুঝে শুনে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কখন আর কীভাবে তার বাচ্চার দুধ ছাড়াবেন। বাচ্চার বয়স, স্বাস্থ্য বিবেচনা করেই মা উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।